দক্ষিণ আফ্রিকার বৈরী কন্ডিশনে শক্তিশালী ভারতকে হারিয়ে বিশ্বকাপ ট্রফি জয় করে বীরের বেশে ফিরেছেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটাররা। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে তাদের দেওয়া হয়েছে লাল গালিচা সংবর্ধনা। চ্যাম্পিয়নদের জন্য কাটা হয়েছে কেক। অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিশ্বজয়ের মুহূর্ত স্মরণে রাখতে ফুটানো হয়েছে ১৯টি আতশবাজি। বুধবার প্রথমবার বিশ্বকাপ জিতে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল দেশে ফিরলে তাদের এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়। যুবা টাইগাররা দেশে ফেরার পর বিকাল ৫টায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ক্রিকেটারদের সংবর্ধনা জানাতে যান ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এমপি, বিসিবির পরিচালক ও নারায়ণগঞ্জ ১ আসনের সংসদ সদস্য বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীকের বড় ছেলে গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পা।
তারা বিশেষভাবে অর্ডার দিয়ে বানানো ফুলের মালা পরিয়ে ক্রিকেটারদের বরণ করে নেয় । স্টেডিয়াম শোভিত হয় ‘চ্যাম্পিয়ন’ সাজে। অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটারদের বহনকারী বাসও সাজে চ্যাম্পিয়নের রঙয়ে।
এসময় তরুণ শিল্প উদ্যোগক্তা ও রূপগঞ্জের সন্তান গোলাম মর্তুজা পাপ্পা বলেন, ৩৩ বছর অপেক্ষার পর আমরা শিরোপা অর্জন করতে পারছি। এটা আমাদের দীর্ঘ সাধনার ফসল। এই টিমটা আমাদের সেরা টিম। গত দুই বছর নিবিড় পরিচর্যায় তাদের গড়ে তোলা হয়। গত দুই বছরে বেশির ভাগ সময় তাদের কেটেছে দেশের বাইরে। কখনো ইংল্যান্ডে কখনো নিউজিল্যান্ডে। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপকে লক্ষ্য করে ২৪ মাসে অনূর্ধ্ব-১৯ দল মোট ৩০ টি ম্যাচ খেলেছে। যা শ্রীলংকা এবং ভারতের পর তৃতীয় সর্বোচ্চ। সেই ফসলই এই শিরোপা জয়।
তিনি বলেন, বিশ্বকাপ জয় করা কঠিন কাজ। তার চেয়ে বড় কঠিন কাজ শিরোপা অর্জনের ধারা অব্যাহত রাখা। আমরা সেই লক্ষেই কাজ করে যাচ্ছি, যাতে টাইগাররা শিরোপা অর্জনের ধারা অব্যাহত রাখতে পারে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস আজকে যারা অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয় করেছে, এরাই আগামী দিনে জাতীয় দলের হয়ে বিশ্বকাপ জয় করবে। সেদিন খুব বেশি দূরে নয়।
এদিকে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন গোলাম মর্তুজা পাপ্পা । তিনি নিয়মিত টিমটাকে পর্যবেক্ষণ করেছেন। যার ফলে বাংলাদেশের এত বড় অর্জন।
এছাড়া রূপগঞ্জবাসীর পক্ষ থেকেও তিনি ক্রিকেটারদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।